সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রবিবার (৮ অক্টোবর) জীবনযাত্রার ব্যয়ের গবেষণার ভিত্তিতে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের কর্মীদের জন্য প্রবেশ স্তরে ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা সুপারিশ করেছে।
বর্তমানে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর-এ মজুরি বোর্ড দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে ৮ হাজার টাকা।
সিপিডি জানিয়েছে, বিদেশি ক্রেতারা পোশাক প্রতি অতিরিক্ত ৭ সেন্ট দিলে কারখানার মালিকরা এই মজুরি দিতে চাপে পড়বেন না।
পোশাক খাতের জন্য ন্যূনতম মজুরি সংশোধন, মনিটরিং ও সুপারিশ সংলাপে সিপিডি এই প্রস্তাব দিয়েছে। ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাবিত বৃদ্ধি সিপিডি কর্তৃক পরিচালিত গার্মেন্টস সেক্টরের উপর একটি ব্যাপক জরিপের ফলাফলের মাধ্যমে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৭৬টি কারখানায় ২২৮ জন শ্রমিক নিয়ে জরিপ করে তারা এ প্রস্তাব দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও সিনিয়র গবেষণা সহকারী তামিম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে মালিক প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সরকার ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল একটি নতুন ন্যূনতম মজুরি বোর্ড স্থাপন করেছিল। ত্রিপক্ষীয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে আরএমজি শিল্পের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বোর্ড ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে, এবং আগামী মাসের মধ্যে নতুন ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এই কারণে যে এটি আরএমজি শিল্পের সামগ্রিক প্রতিযোগিতা এবং শ্রমিকদের জীবিকার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
তাই, মজুরির বর্তমান কাঠামো পরীক্ষা করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য ন্যূনতম মজুরি পেতে দেয় এমনভাবে একটি নতুন মজুরি নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি