কালো টাকা সাদা করার পদ্ধতির কঠোর সমালোচনা করে এটিকে ‘অশোভন কাজ’ এবং ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, কালো টাকা সাদা করার প্রথা একটি অশোভন কাজ এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিয়ে আমরা মূলত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি এবং সৎ করদাতাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছি।’
রবিবার এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি এই নীতির প্রতি অসম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এতে সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একজন সৎ করদাতা সারা জীবন নিয়মিত হারে কর প্রদান করেন, আবার একজন ব্যক্তি কর ফাঁকি দিয়ে এই সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে কম হারে তাদের অর্থ বৈধ করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তিনি তার উদ্বেগের কথা এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বন্ধুর কাছেও জানিয়েছিলেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল সাধারণ ক্ষমা বাতিল হয়ে যাবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা রয়ে গেছে। এটা বাতিল করা উচিত।’
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে সাধারণ ক্ষমা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে তা তিনি এখনই বলতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে আমি অবশ্যই বলব, এটি ভালো অনুশীলন নয় এবং এটি আর কখনো করা উচিত নয়। আমরা এর আগেও অনেকবার এটি বাস্তবায়ন করেছি, কিন্তু ফলাফল কখনোই সন্তোষজনক হয়নি।’
অঘোষিত অর্থ, যা সাধারণত কালো টাকা হিসেবে পরিচিত। ১৫ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে এই অর্থ বৈধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অর্থ বিল ২০২৪-এ।