বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানো এবং চীনের বাজারে পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান।
দুই দেশের মধ্যেকার বিশাল বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে সেসব সুযোগ কাজে লাগাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বৈশ্বিক বাজারের প্রবণতা, চ্যালেঞ্জ এবং প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সম্ভাব্য পন্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেসব খাতের জন্য পুঁজি সংগ্রহের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
মানবসৃষ্ট তন্তু, রং, রাসায়নিক, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য কাঁচামালের প্রধান রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে চীনের গুরুত্ব তুলে ধরে বিজিএমইএ নেতারা চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বুননশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।
এই ধরনের সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য পারস্পরিক কল্যাণ বয়ে আনবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বিসিসিসিআইয়ের সহযোগিতা কামনা করে এই লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিসিআই প্রতিনিধি দলে ছিলেন উপদেষ্টা মো. খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা, সহসভাপতি মো. শহীদ আলম, পরিচালক মেহেরুন নেসা ইসলাম ও সৈয়দ আমিনুল কবীর।
বৈঠকে আরও ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন ও বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মহসিন উদ্দিন আহমেদ নীরু।