শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শিল্পনগরীর উৎপাদনরত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা মাস্ক ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন। এছাড়া অফিসে বা কারখানায় ঢোকার আগে সবাই সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করছেন।
পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর পক্ষ হতে এ সব কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।
এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাবনা বিসিক শিল্পনগরী সূত্র জানায়, এখানে ছোট-বড় ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে ১৬৭টি কারখানা চালু রয়েছে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালসের পাঁচটি ইউনিট পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত।
বর্তমানে উৎপাদনরত অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২০টি খাদ্য ও সহজাত পণ্য যেমন- চাল, ডাল, সরিষার তেল, আটা-ময়দা, সুজি, সেমাই, পশু খাদ্য, ভূষি, খৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ১৪টি হালকা প্রকৌশল যন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ২টি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ধরনের বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান।
শিল্পনগরীর কর্মকর্তা কামাল পারভেজ জানান, বিসিক শিল্পনগরী পাবনাতে দৈনিক প্রায় ৫০০ টন চাল, ৩৫০-৪০০ টন বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং ৭-৮ টন সরিষার তেল উৎপাদিত হয়, যা উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে সরকার পরিচালিত একটি হাঁস-মুরগি খামার (হ্যাচারি) রয়েছে। হ্যাচারিটি থেকে বছরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য প্রায় ৩ লাখ ডিম ও প্রায় ৩ লাখ এক দিনের মুরগির বাচ্চা স্থানীয় খামারগুলোতে সরবারহ করা হয়, যা স্থানীয় আমিষের চাহিদা পূরণে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে।