ব্যবসা-বাণিজ্য
সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা: উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৬ বছরে কোনও নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। ব্যাংকগুলোতে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি।
তিনি বলেন, তাই সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
আরও পড়ুন: পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) একটি প্রতিনিধিদল সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কখা বলে তিনি।
সাক্ষাতে ব্যবসা সহজ করা, শুল্ক হ্রাস, শিপিং সুবিধা, বন্দরের জটিলতা, যানজট এবং ক্যাসলেস ট্রানজেকশন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
যানজট প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রায়ই ঢাকায় যানজট হচ্ছে। গুলশান-বনানীতেও দেখি উল্টো পথে গাড়ি চলছে। ১৮ কোটি মানুষের জন্য ১ কোটি ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা যাবে না। প্রয়োজনে নাগরিকসুলভ শিষ্টাচারবোধ জাগ্রত করতে হবে।
অ্যামচ্যামরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডিফার্ড পেমেন্ট (বিলম্বিত পরিশোধ) যুগোপযোগী ও ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে সহায়তা চালুর দাবি জানান। এর ফলে ক্যাসলেস সোসাইটি গঠন দ্রুত হবে বলে তারা মনে করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আ্যামচ্যাম সহাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, এক্সিকিউটিভ মেম্বার মইনুল হক, রুবাবা দৌলা।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এফবিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা।
মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতি গতিশীলতা ফিরে পাবে। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে ব্যবসায়ী সমাজ আশান্বিত।
মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে। এ জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের নিরাপত্তা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। তাই কোন ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজিসহ হামলার হুমকি পেলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বন্দরের কন্টেইনার জট কমানো ও অন্যান্য অনিয়ম দূরীকরণে সেনাবাহিনী গুরুত্বের সঙ্গেও কাজ করছে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া বলেন, শিল্পের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেছে। শিগগিরই বাকি সদস্যরা কাজে যোগদান করবেন। তাছাড়া বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি আশাব্যাঞ্জক বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য তিনি সবার আগে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মীর নাসির হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঢাকা চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতা, ঢাকা শিল্প পুলিশের ডিআইজি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
৪ মাস আগে
ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এশীয় অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদন করে আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি করছে। ঔষধ ছাড়াও আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এই অঞ্চলে বাণিজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য এগিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে। নতুন নতুন পণ্য ও সেবার উদ্ভাবন আমাদের রপ্তানির ঝুড়িকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত হবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হবে।
মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিগত পাঁচ দশক দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে যেভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের এ প্রচেষ্টা আরও বেগবান হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উত্তরোত্তর প্রসার ঘটাতে ভূমিকা রাখবেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং রেখে চলেছেন। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করছে জানান তিনি।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন এতে করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয় অন্যদিকে বেকারত্ব হ্রাস পায়। এ দেশটা আমাদের সকলের।
উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীরা শুধু লাভের আশা না করে দেশের নানা খাতে অবদান রাখেন হলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের ফলে যে সকল মেগাপ্রকল্প নেওয়া হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে দেশের অবকাঠামগত এবং সার্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন বাস্তবায়নের পথে।
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিজয়ী সকল রপ্তানিকারককে অভিনন্দন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রপ্তানিতে রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতির পাশাপাশি এই ট্রফি রপ্তানি খাতে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৮টি পণ্য খাতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। যারমধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৭টি ব্রোঞ্জ ট্রফি।
এছাড়া, রপ্তানিখাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ)’- প্রদান করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এছাড়া জাতীয় সংসদের সদস্যরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানেরা এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধি এবং পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে অবিরাম কাজ করছে।
তিনি বলেন, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, পানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অনুসরণ, সংযোগ বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার এবং মানবিক সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ‘বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যু’র রাজনৈতিক ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি হলো-সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়- বৈশ্বিক শৃঙ্খলা যে দিকেই অগ্রসর হচ্ছে তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মৌলিক অবস্থান হলো- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, এটি অক্ষত থাকবে না, যাই ঘটুক না কেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ কখনোই আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘এগুলো অক্ষত রেখে, বাংলাদেশ তার সম্পদ অব্যাহত রাখবে ... আমাদের প্রচুর বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে .. আমাদের অবশ্যই কিছু নমনীয় শক্তি আছে।’
আলম বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী এলাকায় একটি ভালো প্রতিবেশী হিসেবে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে।
‘আমরা (এছাড়াও) আশা করি যে আমাদের প্রতিবেশীরা তাদের সর্বোত্তম ক্ষমতা দিয়ে এটির প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব যখন একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন এগুলো আরও প্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি এম হুমায়ুন কবির সভাপতিত্ব করেন এবং বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন ডক্টর লাইলুফার ইয়াসমিন ‘বিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক(দক্ষিণ এশিয়া)এটিএম রোকেবুল হক ‘প্রতিবেশীদের প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি: অংশীদারিত্বে সমৃদ্ধির বন্ধুত্ব’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন।
বিআইআইএসএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন উপায় অন্বেষণ’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন।
বিআইএসএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এম আশিক রহমান ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্প্রসারিত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা’ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এশিয়ার পুনঃউত্থানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি উভয় ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বর্ধিত প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেন এবং আঞ্চলিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে বহুপাক্ষিকতাকে উন্নীত করার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেছেন যে পরিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবস্থায় বিশ্বের দেশগুলো প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের বৈদেশিক নীতি প্রণয়নের জন্য লড়াই করছে এবং বাংলাদেশকে সতর্কতার সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, সাবেক কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, গবেষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন থিংক ট্যাংক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালু হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জন্য আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সংযোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ লাইনটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
পাশাপাশি মানুষ সহজে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
রবিবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় আগরতলা সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এখন যতটুকু কাজ আছে, আশা করা যায় বাকি কাজ জুনের আগেই শেষ হবে।
আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক।
এছাড়া ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১৭ কিলোমিটার রেল লাইন যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি ভারতীয় অনুদানের নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ।
আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ৬.৮ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে রানিং স্টাফদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
স্কুল ছাত্রীদের মধ্যে ৭০০ বাইসাইকেল বিতরণ করলেন রেলমন্ত্রী
২ বছর আগে
প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
ইতিহাসে এই প্রথম মোংলা বন্দর জেটিতে সবচেয়ে বেশি গভীরতার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে চায়না থেকে আসা এমভি এমসিসি টোকিও নামে এই জাহাজটি বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে।
জাহাজটিতে সাত হাজার ২৪১ মেট্টিক টন ওজনের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ২৮৯টি কন্টেইনার রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
বিদেশি এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, এমসিসি টোকিও নাম আট মিটার গভীরতা সম্পর্ণ বিদেশি এই জাহাজটি মোংলা বন্দররের জেটিতে ভিড়েছে। ১৯৮৫ সালের পর এটিই জেটিতে ভিড়া অধিক গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজের নতুন রেকর্ড। সাংহাই বন্দর থেকে কন্টেইনার বোঝাই এ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর তাইওয়ন ও মালয়েশিয়া হয়ে সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়ে। ১৮৬ মিটার লম্বা এ জাহাজটির গভীরতা আট ফুট।
সোমবার বন্দর জেটিতে ভিড়া এই জাহাজটি বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ। আর এটা বন্দরের জন্য বিশাল অর্জন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, ১৯৮৫ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আগমন ও কন্টেইনার পণ্য বোঝাই-খালাস শুরু হয়। কিন্ত ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজের আগে কোনদিন বন্দরের নিজস্ব জেটিতে ভিড়েনি। আর আগে যা এসেছে তার সবই ছিল সাত মিটার গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ। বন্দর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ড্রাফটের জাহাজই হলো এমভি এমসিসি টোকিও। এ জাহাজটিতে আসা আমদানি পণ্য বোঝাই এ কন্টেইনার খালাস শেষে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার নিয়ে বুধবার আবারো চায়নার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মূলত বন্দর চ্যানেলের আউটারবারের ড্রেজিং সম্পন্ন ও ইনারবারে ড্রেজিং চলার কারণেই আট মিটার গভীরতার এ জাহাজটি সরাসরি বন্দর জেটিতে আসতে পেরেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দুপুরে এম ভি এমসিসি টোকিও বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে ভিড়ে বন্দরের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটা অধিক গভীরতার জাহাজ যা জেটিতে ভিড়ে নতুন ইতিহাসের রেকর্ড করেছে। আর এটি মুলত সম্ভব হয়েছে সম্প্রতি আউটারবার ড্রেজিং সম্পন্ন করতে পারায় এবং ইনারবার ড্রেজিং চলমান রাখার কারণে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
এখন থেকে এ বন্দরে বড় বড় অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে আসা ও যাওয়া করতে পারবে। এখানে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার কারণে দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পের মালামাল এ বন্দর দিয়ে আমদানি ও নতুন নতুন বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানিও বেড়ে গেছে।
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু: ফরিদপুরের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত
আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে।
২০১৪ সালে দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই ফরিদপুরবাসীর মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
ফরিদপুর এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য ২০টি জেলায় ডাবল ডেকার সেতুটি উদ্বোধনের পরে তাদের জীবনযাত্রায় একটি বিশাল পরিবর্তনের আশা করা করছে। নিচের ডেক বরাবর রেলওয়ে ট্র্যাক স্থাপন করা হচ্ছে এবং উপরের ডেক যানবাহনের জন্য নির্মিত হয়েছে। সেতুটি ছয় লেনের মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেতুটি চালু হলেও ট্রেন চলাচল শুরু হতে কিছুটা সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: ভুক্তভোগী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছে পুলিশের সাইবার টিম
ইতোমধ্যে ফরিদপুর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে কারণ শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীরা কারখানা স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে জমি কিনতে শুরু করেছেন, যা জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে অনেকটাই উন্নতি করবে।
২ বছর আগে
টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা তিন দিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ও শনিবার পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বন্ধ থাকার পর আগামী রবিবার থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এ ব্যাপারে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত এই তিন দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য উঠা-নামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
২ বছর আগে
পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আবুধাবি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সোমবার বিকালে আবুধাবির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকদুমের আমন্ত্রণে এ সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী রাষ্ট্রীয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিমানটির আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) অবতরণের কথা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এবং আবুধাবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনশক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চার থেকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম-র্যানং বন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বান
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চট্টগ্রাম ও র্যানং সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
মঙ্গলবার চেম্বার ভবনে থাই রাষ্ট্রদূত ম্যাকাওয়াদি সুমিতমরের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত ম্যাকাওয়াদি সুমিতমর বলেন, আগামী বছর থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থিত থাই দূতাবাস এক রোড শো’র আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, করোনা বিধিনিষেধ হ্রাস করে থাই সরকার ধীরে ধীরে দেশটি (পর্যটকদের জন্য) খুলে দেবে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে খুলে দেয়া হবে।
এ সময় থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনও দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের ত্রীদেশীয় সড়কের সম্প্রসারণ এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় রিজওয়ান রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৮৩৭ দশমিক ০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে থাইল্যান্ড থেকে ৮০১ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আমদানি করে বাংলাদেশ।
তবে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ২০২১ সালে দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০ সালে ছিল ৩৫ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিবে আইডিএ
কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর
৩ বছর আগে