বৃহস্পতিবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
চুন্নু জানান, বাংলাদেশ শ্রমিক আইন অনুযায়ী নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে যেহেতু পাঁচ বছর পরে মজুরি পুনঃনির্ধারণের একটি বিধান রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হবে।
‘নতুন মজুরি কাঠামোতে মূল বেতন ৪,১০০ টাকা। আগের বারের তুলনায় এই বেতন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ন্যূনতম মজুরি ছিল ১,৬৬২.৫০ টাকা, ২০১০ সালে ৩০০০ টাকা এবং ২০১৩ সালে ছিল ৫,৩০০ টাকা,’ উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ১৪ জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের বিদ্যমান বেতন পর্যালোচনা করার জন্য সরকার একটি নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে। পোশাক মালিকরা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হিসেবে ছয় হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়। তবে শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা করার দাবি জানায়।
‘দর কষাকষির পরে সাত হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষই তা গ্রহণ করেনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়পক্ষের সাথে বৈঠক করেন এবং মজুরি নির্ধারণ করেন। বোর্ড আজ তাদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভায় নতুন মজুরি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে,’ যোগ করেন চুন্নু।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং মজুরি বোর্ডের প্রধান সিনিয়র জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমিরুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে।