তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিশ্বমানের চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিক, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন করছে। আলজেরিয়ার বাজারে এসব বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবির সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠককালে শিল্পমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় দু'দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠন, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর, রাসায়নিক সারসহ উদীয়মান শিল্পখাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আলজেরিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ইসলামিক সম্মেলন সংস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিতে আলজেরিয়ার মুখ্য ভূমিকা ছিল। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আলজিয়ার্সে ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছে।’
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আগামী দিনে দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি কূটনৈতিক প্রস্তাবনার পরামর্শ দিয়ে শিল্পমন্ত্রী জানান, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠন, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর, শিল্পপণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ প্রতিবছর আলজেরিয়া থেকে সার আমদানি করছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আগামী দিনেও আলজেরিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে সার সরবরাহ করে যাবে। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জনবল আলজেরিয়ার সার কারখানাগুলোতে দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।