শিল্পমন্ত্রী
বাজারের কোনো এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, টাইগার, স্পিড ও গুরুর মতো যেসব কোমল পানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কার্বোনেটেড পানীয় হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পানীয় পণ্যের নমুনায় (স্পিড, রয়্যাল টাইগার, ব্ল্যাক হর্স, বুলডোজার, পাওয়ার, গুরু, গিয়ার, স্ট্রং ও রেড বুল) কোনো ধরনের মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী।
প্রশ্নে সংসদ সদস্য বলেন, এনার্জি ড্রিংকগুলো এনার্জির নামে মানবদেহে ভয়াবহ রোগ প্রবেশ করাচ্ছে এবং অনেক ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যও রয়েছে। ২৭টি এনার্জি ড্রিংক বিএসটিআইয়ের জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করছে। এনার্জি ড্রিংকে যৌন উদ্দীপক উপাদান মেশানো হচ্ছে। কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এনার্জি ড্রিংকগুলো কোমল পানীয়তে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিএসটিআই এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ মাদক প্রতিরোধে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা করছে সরকার
উত্তরে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭৩টি পণ্য বিএসটিআইয়ের আওতায় নিয়ে এসেছে। দেশে এনার্জি ড্রিংকসকে বাধ্যতামূলক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টাইগার, স্পিড, গুরু ও অন্যান্য পানীয়, যা দেশে বাজারজাত করা হচ্ছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্বনেটেড পানীয় হিসেবে বিএসটিআই লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে।
গত এক বছরে ২৩৭টি পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী সবগুলো নমুনা উত্তীর্ণ হয়েছিল বলে জানান নুরুল মজিদ।
তবে তিনি আরও বলেন, পানীয়র সঙ্গে মাদকদ্রব্য মিশ্রণ এবং এনার্জি ড্রিংকসের নামে বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরিতে দ. কোরিয়ার সহযোগিতা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী
দেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, আমরা অবকাঠামোখাতে ব্যাপক উন্নতি করেছি। এখানে বিনিয়োগ করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ নিতে পারে। আমরা নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। এ সময় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক বিখ্যাত কোম্পানি কিয়া বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশের ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থানীয়ভাবে বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপনে জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, শ্রমশক্তি হিসেবে যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ভাষা দক্ষতায় দুর্বল। কাজেই জনবল পাঠানোর সময় তাদের কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করাও জরুরি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত কোরিয়ান ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও টেকনিশিয়ান বা কর্মীদের ভিসা জটিলতার কারণে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। তারা যদি তিন মাসের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা পায়, তাহলে তাদের কার্যক্রম চালানো আরও সহজ হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শিল্পমন্ত্রী এ ব্যাপারে স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে নামল দ. কোরিয়া থেকে আসা রেলকোচের মিটারগেজ চালান
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
২০০৯ সাল থেকে বিসিক এস্টেটে ৩ হাজারের বেশি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বিসিক শিল্পাঞ্চলে তিন হাজারের বেশি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে ৫ হাজার ৬৬৭টি শিল্প প্লটে ৩ হাজার ৬৪টি শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ৮২টি শিল্প এস্টেট স্থাপন করা হয়েছে।
এসব শিল্প এস্টেটে ১২ হাজার ৩১৩টি শিল্প প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭৫০টি প্লটে ৫ হাজার ৮৪৪টি শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৫৬৩টি শিল্প প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী পেপার মিলস আবার ঘুরে দাঁড়াবে: শিল্পমন্ত্রী
দেশে চিনির কোনো অভাব নেই: শিল্পমন্ত্রী
বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
কর্ণফুলী পেপার মিলস আবার ঘুরে দাঁড়াবে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আবারও ঘুরে দাঁড়াবে কর্ণফুলী পেপার মিলস। বর্তমানে কাগজের যে চাহিদা আছে ওই চাহিদাগুলো কর্ণফুলী কাগজকল যাতে মেটাতে পারে সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রবাসীরা: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে কাগজ যাতে আনতে না হয় সেজন্য কোয়ালিটি আরও বাড়াতে হবে। আমাদের যে ফ্যাসিলিটিজ আছে-আমরা বাজারদরে কাগজের বাজারজাত করতে পারবো। এছাড়া মিলে নতুনত্ব আনা হবে।
তিনি বলেন, অন্য প্রজেক্টের চিন্তাও রয়েছে। মিলে যে বিশাল প্রজেক্ট চালু ছিল ভবিষ্যতে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলা চালু করা হবে। তবে এখন কাঁচামালের অভাব। আমাদের এখন যে ক্যাপাসিটি আছে আভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য যথেষ্ট। তবুও কিছুটা আধুনিক করে আমরা পারব।
মন্ত্রী বলেন , এখন সারাবিশ্ব জুড়ে কাঁচামালের অভাব। আমাদের এখন যে ক্যাপাসিটি আছে, আভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য যথেষ্ট তবুও কিছুটা আধুনিক করব আমরা। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সামনে কাজগুলো করাবো। কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়াবে। একটু সময় লাগবে। পুরনোগুলো চলবেনা।
আরও পড়ুন: দেশে চিনির কোনো অভাব নেই: শিল্পমন্ত্রী
খালেদা জিয়া ও তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার: শিল্পমন্ত্রী
দেশে চিনির কোনো অভাব নেই: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আমাদের চিনির কোনো অভাব নাই। রমজানকে টার্গেট রেখে বাজারে পর্যাপ্ত চিনির মজুত আছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া আছে আরও এক লাখ টন চিনি এনে রাখার।
শনিবার সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউসে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান
মন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান মতে পর্যাপ্ত চিনি মজুত আছে। আগামী রমজান পর্যন্ত এই মজুত পর্যাপ্ত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থায় বাজারে যেন চিনির সংকট না হয় সেজন্য সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরও চিনি এনে রাখার জন্য বলেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী গ্রিনসিটি, ক্লিনসিট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখন রাজশাহীকে কর্মসংস্থান সিটিতে গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শুধু ঢাকাকে উন্নত করতে চান না। রাজশাহীকেও উন্নত করতে চান। প্রধানমন্ত্রী সকল চিন্তা করেন।
এছাড়া রাজশাহীর সকল কলকারখানা চালু করবো। যারা চালুর জন্য উদ্যোগ নিতে চান আমরা সহযোগিতা করবো।
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে রাজশাহী জেলার ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা এবং অংশীজনের সঙ্গে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও বিসিক।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রবাসীরা: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের পাশাপাশি, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট পরিদর্শনে সময় তিনি একথা বলেন।
এসময় কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তাকে স্বাগত জানান।
মন্ত্রী এসময় সরকারের প্রবাসী বান্ধব নীতি ও পদক্ষেপ সমূহের বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিস্তৃতকরণে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের চলমান প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন এবং ভবিষ্যতে এ দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
শিল্পমন্ত্রী কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিশ্বমানচিত্রের এক অনন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ওপর আলোকপাত করে শিল্প বিকাশে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ ও ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
এসময় কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম কনস্যুলেট কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন এবং তা আরও সহজ ও ত্বরান্বিত করতে কনস্যুলেটের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী কনস্যুলেটের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কনস্যুলেটে কর্মরত সকলকে আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম কনস্যুলেট সফরের জন্য শিল্প মন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর সক্ষমতা বাড়াতে সরকার একটি আধুনিক সুসজ্জিত ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
রবিবার বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যকে সার্টিফাই করতে উন্নত দেশের মতো বিএসটিআই-এর সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বিএসটিআই ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এক হাজার ৬৬৬টি ‘মোবাইল কোর্ট’ পরিচালনা করেছে।
২০১৯ সালে প্রায় দুই হাজার ৯৮৫ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যার ফলে ১৪.৯৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাছাড়া বিএসটিআই এর নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে ২৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা, ২৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বিভিন্ন কোম্পানির ১০ কোটি টাকার পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে বিএসটিআই।
দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী
দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চিনিকল আধুনিকায়নের জন্য সাময়িকভাবে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের কোন চিনিকলই বন্ধ না। পুনরায় সকল কারখানা চালু করা হবে।’
শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলে ২০২১-২০২২ আখ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিপণ্য উৎপাদনের ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়। এ বিষয়টিও যাচাই বাছাই করা হবে। কৃষকদের দাবি মানার বিষয়টি দেখা হবে।’
আরও পড়ুন: শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও সে দাম বৃদ্ধি পায়। তবে আমদানি নির্ভর এসব দ্রব্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে উপজেলা পর্যায়ে টিসিবি কার্যক্রম শুরু করা হবে। আশা করি, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ৪০০-৫০০ টিসিবি ট্রাক নামানো হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চিনিকল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেই: শিল্পমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিস্টিলারি, জৈব সার কারখানা এবং ওষুধ কারাখানার সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ এ শিল্প কমপ্লেক্সের চিনি কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আসছিল। সরকারিভাবে চিনির মূল্যবৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে কারখানাটি। তবে চিনির মূল্য বাড়লেও আশানুরূপ হারে আখের মূল্য সেভাবে বাড়েনি বলে অভিযোগ চাষিদের। বর্তমানে মিলে আখের মূল্য প্রতি মণ ১৪০ টাকা। তবে প্রতি মণ ২৫০ টাকা দাবি করেছে চাষিরা।
শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান
রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি অটোমোবাইল, চিনি, এগ্রো ফুড প্রসেসিং এবং জাহার পুণঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প সম্প্রসারণে অধিকতর জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাপান সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অটোমোবাইল ও সার কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে। অন্যান্য সম্ভাব্য শিল্পেও আরও বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুনঃ এসডিজি অর্জনে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই: শিল্পমন্ত্রীরাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি, আইন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) শেখ ফয়েজুল আমীন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুল ওয়াহেদ, সিনিয়র সহকারী সচিব (নীতি) মো. সলিম উল্লাহ ও জাপান দূতাবাসের হেড অব ইকোনোমিক ডিপার্টমেন্টের প্রথম সচিব হারুতা হিরোকি এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণে শিল্প কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগসহ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। সুদীর্ঘ সময় ধরে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশ একে অপরের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পারস্পারিক সহযোগিতার এক্ষেত্রসমূহ আগামীতে আরও বিস্তৃত হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।
আরও পড়ুনঃ চিনিকল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেই: শিল্পমন্ত্রীসাক্ষাৎকালে জাপানের মিতসুবিশি মটরস কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে একটি গাড়ি উৎপাদন কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে মর্মে জানানো হলে জাপানের রাষ্ট্রদূত এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ’মাসের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির (সম্ভাব্যতা সমীক্ষকরণ) সমঝোতা স্মারক হবে মর্মে উভয়পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
করোনা মহামারি মধ্যেও কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এর সার উৎপাদন চলমান এবং সারাদেশে সার সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে মর্মে জানানো হয়। এছাড়াও সারাদেশের সার সংরক্ষণ ও সরবরাহের লক্ষ্যে বাফার গোডাউন নির্মাণের বিষয়টি আলোচনা সভায় অবহিত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রীবর্তমানে বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশে রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টিতে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে শিল্প প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। সিরাজগঞ্জের নতুন সার কারখানা এবং বাংলাদেশে একটি অটোমোবাইল টেস্টিং ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনে জাপান সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাওয়া হলে জাপানের রাষ্ট্রদূত তাঁর সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
‘মানুষের জন্য কাজ করলেই বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ সার্থক হবে’
ঢাকা, ০১ জুলাই (ইউএনবি)-শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা অসহায় মানুষের জন্য কোনো কাজ করতে পারবো। অসহায় ও মুমূর্ষু মানুষের জন্য রক্তদান আমাদের জন্য একটা বড় সুযোগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে। অসহায় ও মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান একটি মানবিকতা।
একুশে টেলিভিশন লিমিটেড কার্যালয়ে শোকাবহ আগস্ট ২০২১ উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের স্মরণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবিবার শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ শারফুদ্দীন আহমেদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় রক্তদান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবসৃষ্ট ‘ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন’এর ডিভিশনাল প্রধান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, জিটিভির বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইটিভির পরিচালক রবিউল হাসান অভি এবং কে এম শহীদুল্লাহ। 'বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ রক্তের অভাবে কোন মানুষ মারা যেতে পারে না' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একুশে টেলিভিশন লিমিটেড এ রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, আগস্ট বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য একটি শোকাবহ মাস, এ মাসে একুশে টেলিভিশনের এ রক্তদান কর্মসূচি একটি মহৎ উদ্যোগ। এটি প্রত্যেকের জন্যই অনুকরণীয়। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি মন্ত্রণালয় এবং যে সকল প্রচার সংস্থাগুলো আছে তারা যদি এ মহৎ উদ্যোগগুলোকে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে নিয়ে যায়, তাতে করে বঙ্গবন্ধু রক্তের ঋণ কখনও তো শোধ করা যাবে না, তবে মানবতার সেবায় এ রক্তদান কর্মসূচি বিশাল ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রজ্জ্বালিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে: তথ্যমন্ত্রী
এসডিজি অর্জনে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই: শিল্পমন্ত্রী