বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সংস্থার (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার আগেই একদল বহিরাগত নিরীহ গার্মেন্টস শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নভেম্বরের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে পারে এবং বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে। তাই মজুরি ঘোষণার আগে শ্রমিকদের অস্থিরতা ও আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে পোশাক খাতের সাম্প্রতিক শ্রমিক অস্থিরতা ও ন্যূনতম মজুরি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড নভেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে এবং সরকার নতুন বেতন কাঠামো হিসেবে যা-ই ঘোষণা করুক না কেন, গার্মেন্টস শিল্পে যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, তা মেনে নেবেন। আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা কতটা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, সে বিষয়ে আমরা পুরোপুরি অবগত। প্রতিটি উদ্যোক্তার দুর্দশায় আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিটি শ্রমিক ভাই-বোনকে যথাসম্ভব ভালো রাখা। শ্রমিকরা আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের প্রাণ। তারা যদি ভালো হয়, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি ভালো থাকবে।’
ফারুক বলেন, 'আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, গত কয়েকদিন ধরে বহিরাগতদের প্ররোচনায় কিছু পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানা ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কারখানা ভাঙচুর করছে, ফলে অনেক উদ্যোক্তা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, বহিরাগতদের উসকানির কারণে পোশাক কারখানা, চামড়া কারখানা, রাসায়নিক গুদাম, ফেব্রিক গুদাম, দোকানপাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%