বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড নতুন আঙ্গিকে এ পণ্য বাজারজাত শুরু করেছে।
ভিনেগার এক ধরনের অ্যাসিটিক অ্যাসিড ও পানির মিশ্রণ। চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যাসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়, যাকে সিরকা বা ভিনেগার বলা হয়। সারা বিশ্বেই এর ব্যবহার রয়েছে। মাছ বা মাংসের বাড়তি গন্ধ দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রান্নায় ভিনেগার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। হালকা ধরনের খাবার তৈরিতে যেমন স্যুপ বা বীজ জাতীয় খাবারে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এছাড়া খাবার সংরক্ষণ, সবজি রান্না, সালাদ ড্রেসিং করা হয় ভিনেগার দিয়ে। এটি শরীরের বাড়তি চর্বি কাটতে সাহায্য করে।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘কেরুতে দুই ধরনের ভিনেগার উৎপাদিত হয়, সাদা ও মল্টেড ভিনেগার। কেরুর ভিনেগার ৪৫০ মিলিলিটারের বোতল ৫০ টাকা ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতল ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।’
খাদ্যকে জীবাণুমুক্ত করতে ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকর জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি ভিনেগারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার চাহিদা মেটাতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ভিনেগারের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, চিনি ও ডিস্টিলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৩৮ সালে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়।