বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ছাড়ের অনুমোদনের সময় বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফ স্বল্পমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সতর্ক মুদ্রানীতির পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালার সমর্থন হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয় রাজস্ব নীতি গ্রহণের কথা বলেছে বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
আইএমএফ বাহ্যিক ধাক্কার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
আইএমএফ মুদ্রানীতি কাঠামো আরও আধুনিকীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বৈঠকে আইএমএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মুদ্রানীতি আধুনিক হলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব শক্তিশালী হবে।
আইএমএফ বলেছে, ‘একক বিনিময় হার গ্রহণের মুদ্রার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ধীরে ধীরে আরও নমনীয়তার উপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে অর্থনীতিতে বাহ্যিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা প্রয়োজন।’
তবে ৬৯০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৪৬৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থার অধীনে এবং ২২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদিত ইসিএফ/ইএফএফ এবং আরএসএফ ব্যবস্থার পরিমাণ বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭৬ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়েছিল।
আইএমএফ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনের সময় দুর্বলদের সুরক্ষার জন্য অনৈক্যজনিত সমন্বয় রোধে সহায়তা করেছে।’
সমসাময়িক আরএসএফ ব্যবস্থা ইসিএফ/ইএফএফ এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থানগুলোকে পরিপূরক করেছে। আইএমএফ বলেছে, এই তহবিল অতিরিক্ত অর্থায়নকে অনুপ্রাণিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই