বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের শনিবারের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন: রিজভী
তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা এখন পিছিয়ে গেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি মাসের শেষের দিকে লন্ডন ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল খালেদা জিয়ার।
একই সঙ্গে সৌদি আরবে তার পবিত্র ওমরাহ পালনেরও কথা ছিল।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
প্রায় সাত বছরের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খালেদা জিয়ার সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা করেন খালেদা জিয়া। এটিই ছিল তার শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি, এর ঠিক তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হওয়ার ৬ বছর পর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ উপলক্ষে গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসের পাশাপাশি তার হার্ট, ফুসফুস, কিডনি এবং চোখের জটিলতাসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের জবাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেকের