বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে বর্তমান সরকারের সর্বব্যাপী দুর্নীতির কারণে দেশের সম্পদের অবক্ষয় হয়েছে। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল নীতি দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়া এবং বিদেশে অর্থ পাচার করা।
তিনি বলেন, ‘ভারতে একটি স্লোগান ছিল---চোররা প্রতিটি অলি-গলিতে আছে এবং এই নেতা (আমি কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না) একজন চোর। এখন আমাদের স্লোগান ভোট চোর আওয়ামী লীগের নীতি দুর্নীতি ও অর্থপাচারে লিপ্ত।’
শনিবার নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল শুধু ভোট চোর নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিরও চোর। আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে পুরো দেশ ও অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজদের হটিয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা শিগগিরই জয়ী হব: ফখরুল
ফখরুল বলেন, তারা অন্যান্য দল ও দেশের জনগণের সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে পারবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরকার গঠিত হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের চলমান আন্দোলন জোরদার করতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচন ছাড়াই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় এসেছে, তাকে আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’
গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিহত দলের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংগ্রামকে সফল করতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হলে উ. কোরিয়ার মতো স্বৈরাচারী হতে পারে বাংলাদেশ: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বব্যাপী দুর্নীতি, বিদ্যুত, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল। বিরোধী দগুলো সরকারের সর্বব্যাপী দুর্নীতির প্রতিবাদেও এই কর্মসূচি পালন করছে।
যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে সারাদেশের অন্য সব মহানগরে সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, ১২ দলীয় জোট, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও এলডিপি পৃথক পৃথক সমাবেশ করেছে।