জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিগত জালেম সরকার বলত—আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। পক্ষান্তরে দেখা যেত, আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেবো। এমনটাই ঘটেছিল।
তিনি বলেন, ‘জনগণ ও ছাত্ররা আর এমন নির্বাচন চায় না, অতীতে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি হতে দেবে না ছাত্ররা। তাই আমরা বলেছি—আগে বিচার, তারপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় শুধু আমরা না, সাধারণ জনগণ দেখেছে আওয়ামী সরকার নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে এমপি হয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই সেরে ফেলেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাধারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি, ভোটারদের যাওয়া লাগেনি, এমনকি যারা গিয়েছে তাদের ভোটগুলো প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনরা মেরে নিয়েছে। শুধু তাই না, ২৪’র নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে ডামি প্রার্থী সাজিয়ে নির্বাচন করেছিল।
আরও পড়ুন: সব ইসলামী দলের একটি ভোট বাক্স থাকবে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের এই লড়াই চলবেই। ২৪’র আন্দোলনে আমরা দেখেছি ছাত্রদের মুখে স্লোগান ছিলো উই ওয়ান্ট জাস্টিস-আমরা ন্যায়বিচার চাই, ঠিক তেমনি আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. সাদেকুর রহমান, সহ-সেক্রেটারি মো. আতিকুল ইসলাম রাসেল এবং নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মো. আবুল কালাম আজাদ।
বাগাতিপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা একেএম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, শিবিরের সাবেক নাটোর জেলা সভাপতি মহসিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান