তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামাত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের এ দিনে কতিপয় দুর্বৃত্ত আমার পিতা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপিকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডের এতো বছর পার হলেও সেই সকল সন্ত্রাসীদের আজও বিচারের রায় কার্যকর হয়নি। আমি অবিলম্বে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানাই।’
গাজীপুরের হায়দারাবাদে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ দাবি করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর্দশের কখনো মৃত্যু হয় না। আমার পিতা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু রয়েছে তার কর্ম, তার জীবনাদর্শ। তিনি ছিলেন সৎ, নির্লোভ নিরহংকার একজন নীতিবান মানুষ। তিনি সারাজীবনই সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় তাকে অকালে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল। তবে তিনি বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন মানুষের অন্তরে। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট আমার পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং দেশবাসীকে আমার পিতার জন্য দোয়া করতে বিনীত অনুরোধ করছি।’
আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে টঙ্গী-গাজীপুর-২ আসনের সর্বত্র সকাল থেকে দিনব্যাপী দুস্থ-গরিব-দুঃখী ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে গ্রামের বাড়ি হায়দ্রাবাদে মরহুমের মাজার প্রাঙ্গনে কোরানখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিলে মেহের আফরোজ চুমকি এমপিসহ গাজীপুরের অন্যান্য জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।