রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানি শেষে ২৭৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ছয় দিনের শুনানির সময় ৫৫৮ প্রার্থীর মধ্যে ২৭৫ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
১৯৮৫ প্রার্থীকে আগেই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল, নতুন মিলিয়ে মোট ২২৬০ প্রার্থী আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানির শেষ দিনে শুক্রবার ২০ প্রার্থী পুনরায় প্রার্থিতা গ্রহণ করেন।
ইসি জানায়, আপিল শুনানির প্রথম দিনে ৫৬ জন এবং দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন, তৃতীয় দিনে ৬১ জন, চতুর্থ দিনে ৪৪ জন, পঞ্চম দিনে ৪৩ জন এবং শেষ দিনে ২০ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফেরত দিয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসারের বৈধ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মোট ৩২টি আপিল ইসির কাছে দাখিল করা হয় এবং শুনানিতে কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী শাম্মী আহমেদ, ফরিদুপুর-৩ আসনে শামীম হক ও কক্সবাজার-১ আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত অবৈধ ঘোষণা করেন ইসি।
এদের মধ্যে শাম্মী, শামীম ও সেরনিয়াবাতের প্রার্থিতা দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের ঋণ খেলাপির কারণে বাতিল করা হয়।