বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের সন্তানদের হারিয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ফখরুল কিছু বিএনপি নেতার সঙ্গে প্রথমে উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেক এলাকায় যান এবং বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থী উমায়ের নূর আশিক, বোরহান উদ্দিন ব্যাপ্পি এবং মাহিত হাসান আরিয়ানের পারিবারিক কবরস্থানে বেলা ১১টার দিকে ফাতেহা পাঠ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
পরে তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে সান্ত্বনা ও সহানুভূতির কথা বলেন। আশিক, ব্যাপ্পি এবং আরিয়ান একই পরিবারের সদস্য এবং চাচাতো ভাই ছিলেন।
তারা তিনজনই উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেক মসজিদ এলাকায় একসঙ্গে বড় হয়েছেন। এরপর ফখরুল কাছাকাছি নয়ারনগর এলাকায় যান এবং আরও দুই শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও শরিয়ারের কবরেও ফাতেহা পাঠ করেন।
তিনি ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা জানিয়ে বলেন, ‘এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, শুধু আপনাদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য। আমরা এই দুঃখের সময়ে আপনাদের পাশে আছি।’
তিনি বলেন, পুরো জাতির মতো বিএনপিও এই গভীর শোকে শোকাহত।
আরও পড়ুন: খায়রুলের গ্রেপ্তারে মির্জা ফখরুলের শুকরিয়া, চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
ফখরুল জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে শোকাহত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করে দলীয়ভাবে গভীর সমবেদনা জানাতে এবং এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছেন।
দুঃখ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ‘যখনই আমরা কোনো দুর্ঘটনায় শিশুদের মৃত্যুর কথা শুনি, সেটা আমাদের গভীরভাবে আহত করে। শিশুদের ভবিষ্যৎ— পরিবার ও জাতির ভবিষ্যৎ।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি শিশুকে হারানোর বেদনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সান্ত্বনার ভাষা আমাদের নেই। তবে এই শোকের সময় আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সৈয়দুল কবির খানসহ আরও অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।