বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ কীভাবে খালি কলসিতে পরিণত হয়েছে তা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় ফুটে উঠেছে।
প্রকৃত রাজনীতিবিদরা নির্বাচনের দৌড় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আসছে না। গণতন্ত্রপন্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মানববন্ধনে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের অধিকাংশই মূলত ব্যবসায়ী ও সুবিধাবাদী।
রিজভী বলেন, ‘তারা মনোনয়ন কিনছে, আর যারা রাজনীতি করে তারা এখন আর নির্বাচনে নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'আপনার দল খালি টিনের বাক্স হয়ে গেছে। তাই আগে নিজের দলের কথা ভাবুন, তারপর বিএনপির কথা বলুন। খালি কলসি বাজে বেশি। আপনার আওয়াজ আরও জোরালো কারণ আপনার আওয়ামী লীগ খালি কলসিতে পরিণত হয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের দলের ভেঙে পড়া ও হতাশাজনক অবস্থা ঢাকতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রায়ই বিএনপির দুর্বলতা, ব্যর্থতা ও হতাশার কথা বলেন।
রিজভী বলেন, উপজেলা পরিষদের ভুয়া নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের লোকজনই বলছেন, মন্ত্রী-এমপিদের সন্তান, স্ত্রী ও দুলাভাইসহ স্বজনরা যদি উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে দলের অন্যরা কী করবেন?
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হাইকমান্ড মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে নিষেধ করলেও প্রায় কেউই তাতে কর্ণপাত করেনি।
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও ভগ্নিপতিরা যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর স্বজনদের মধ্যে যদি ২০ থেকে ৩০ জন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, তাহলে তাদের বাদ দেওয়া হবে কেন? এই হচ্ছে অবস্থা।’
যারা জনগণের আস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, দেশের জনগণের মালিকানা কেড়ে নেয় তারা জনসমর্থন পায় না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগ বর্তমানে মুষ্টিমেয় সুবিধাবাদী, ঋণখেলাপি ও বাজার সিন্ডিকেটের সদস্য দ্বারা ঘিরে আছে। এরাই গণশত্রু"।
মানববন্ধন ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।