পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের পৃথক রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহম্মদ মাহাবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি জানান, এ আদেশের ফলে ওই তিনজন এখন নির্বাচনে থাকছেন।
তিন প্রার্থী হলেন- চেয়ারম্যান পদে মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফেরদৌসী পারভীন।
৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো মহিববুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল ইসি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
একই সঙ্গে ওই তিন প্রার্থীকেও হাজির হতে বলেছিল ইসি।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তার সেই বক্তব্যটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই প্রচারমূলক কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার লঙ্ঘন।
প্রতিমন্ত্রী ও তিনপ্রার্থী গত রবিবার ইসিতে হাজির হন।
শুনানি শেষে ইসি নির্বাচরি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেটি আমলে নিয়ে কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
এরপর ওই তিন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
আগামী ৫ জুন বুধবার ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের