উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কয়েকটি জেলায় ভোট গ্রহণ আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
খুলনার ৩টি উপজেলা- তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ১৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪৩টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ বলেন, তেরখাদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন।
তিনি আরও বলেন, দিঘলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, মোট ১৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে তেরখাদা উপজেলায় রয়েছে ৪৩টি, দিঘলিয়ায় ৫২টি ও ফুলতলায় ৪৩টি।
জেলা পুলিশ সূত্র বলছে, ৩ উপজেলায় তাদের আওতাধীন এলাকায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১২টি। এর মধ্যে ৬৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
খুলনা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, ৩ উপজেলার মধ্যে দিঘলিয়া ও ফুলতলার ২৬টি কেন্দ্র তাদের আওতাধীন। তারা সবগুলো কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে। বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এই তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা, কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে কেন্দ্র কি না, প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি নেওয়া হয়েছে বিবেচনায়।
পুলিশ জানায়, প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ৪ জন পুলিশ ও ১৭ জন করে আনসার সদস্য। এ ছাড়া পুলিশ ও র্যাবের টহল টিম দায়িত্ব পালন করবে।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, সাধারণের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি থাকবে। তবে সাধারণ কেন্দ্রেও নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।
এদিকে, বরিশালের হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় চলছে ভোট। ২ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের ১২১ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
২ উপজেলার ১২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩ কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) চিহ্নিত করে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ২ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ৪০০ পুলিশ সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), নৌ পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি অন্তত ৪০টি মোবাইল টিম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো অনিয়ম দেখলেই কঠোর হাতে দমন করা হবে। অপরদিকে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার থেকে তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন এই দুটি উপজেলার রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘড়াই।
তিনি বলেন, হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় ২ প্লাটুন করে মোট ৪ প্লাটুন বিজিবি ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ১৩০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার