জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপ-প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী ইউএনবিকে জানান, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভোর ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জালালী বলেন, খালেদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিএমএইচ হাসপাতালে তাকে কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এক মাস আগে জাতীয় পার্টির এ নেতা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন এবং পরে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায়ও তার পজেটিভ রেজাল্টা আসে।
এইচ এম এরশাদের ভাগনে খালেদ ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছেড়ে দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। শুরুতে এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব হিসাবে কাজ করেছিলেন। পরে তাকে জাতীয় পার্টির কোষাধ্যক্ষ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।
তবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুর পরে জাতীয় পার্টির নবম জাতীয় কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম পদ থেকে বাদ দেয়া হয়।
মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ একটি ট্রাস্ট গঠন করেন এবং তার সমস্ত সম্পদ সেখানে দান করেন। পরে খালেদকে সংস্থাটির চেয়ারম্যান করা হয়।
এদিকে, খালেদের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মুক্তির জন্য দোয়া করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।