এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কেবিনে প্রবেশের চেষ্টা করে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'আমাদের চেয়ারপারসন অসুস্থ, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কেবিনে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের অনুপ্রবেশের চেষ্টা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠছে।’
খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্য সমস্যার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেন বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালের মতো একটি স্বনামধন্য নিরাপদ পরিবেশে কীভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা, বিশেষকরে তার অসুস্থ অবস্থায়, তা নিয়ে মানুষ বিস্মিত।
রিজভী এই ঘটনার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সম্ভাব্য গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেন। ‘এ ধরনের রহস্যময় ঘটনায় জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি আরও ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের অংশ তা নিশ্চিত করা জরুরি।’
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হার্টের জটিলতাসহ একাধিক স্বাস্থ্যজনিত কারণে গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি উঠেছে। সম্প্রতি, তিনি ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শন্ট (টিআইপিএস) নামে একটি বিশেষ হেপাটিকের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দলের পরক্ষিার পর এটি শনাক্ত করা হয়।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তার গুলশানের বাসভবনে থাকার বাধ্যবাধকতা দেয় এবং বহির্বিশ্বে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে।