সরকার পতনের একদফা দাবি ও ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপির ডাকা ৬ষ্ট দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন চট্টগ্রামে মিছিল ও সড়ক অবরোধকালে আরও ২০জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মখর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাও আছেন। তাকে সন্ধ্যা নগরীর কাতালগঞ্জর পার্কভিউ হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপতি।
মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কাজী মিন্টুকে ডবলমুরিং থানা, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. ফারুককে বাকলিয়া থানা, সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শওকত আলীকে ডিবি, চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সিনবাদকে চকবাজার থানা, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা মোরশেদ ফয়সালকে র্যাব, মোহরা যুবদল নেতা নুরুল আবছার ও পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. আলাউদ্দিনকে চাঁন্দগাও থানা, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ শুক্কুরকে র্যাব, হাটহাজারী সড়কের ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে বিএনপি নেতা আমজাদ আলী, যুবদল নেতা খোরশেদ আলম, ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম শিহাব, শহিদুল ইসলাম হৃদয়, মোহাম্মদ রাকিব, তৌহিদুল ইসলাম, সাঈদুল হোসেন অভি, আবুল খায়ের জিসানকে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
এদিকে নগর বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবরোধে দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকালে মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদল নেতা মঈনুদ্দীন যায়েদকে না পেয়ে তার ব্যবসায়ী বড় ভাই তৌহিদুল ইসলামকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় বাঁশখালী থানা পুলিশ। থানায় রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।