চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কাজির দেউরিস্থ নগরী নসিমন ভবনে মোটরসাইকেলসহ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে হামলার সময় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কেউ ছিল না।
বিএনপি নেতারা জানান, পদযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ নামধারী একদল সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করে নেতাকর্মীরা বাসায় চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের কার্যালয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এলাকার শিশু কিশোর ফুটবল খেলোয়ারদের মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ৭ থেকে ৮ জনকে আহত করা হয়েছে। তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও দলীয় কার্যালয়ে লুটপাট চালায়। এসময় মাঠে দু’টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার একঘন্টা পর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা ভাঙচুর করা অফিস পরিদর্শন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি জানান, বিএনপি'র পদযাত্রা থেকে উপনির্বাচনে আমাদের নৌকার প্রার্থী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করে। এতে এলাকার লোকজনদের কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির অফিসে হামলা করেছে। তারা কারা আমরা জানি না।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নগরীর ওয়াসার মোড়ে রাত থেকে অফিস ভাঙচুরের ঘটনার পর কিছু লোক পাল্টা বিএনপির অফিসে হামলা করেছে। তবে আমরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।