তিনি বলেন, ‘যারা আমাকে আইনের শাসন এবং সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন তারা অপরাধী ও ডাকাত। যারা জনগণের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন তাদের চেয়ে বড় ডাকাত আর কেউ হতে পারেন না। তাদের ডাকাত হিসেবে আখ্যায়িত করুন।’
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে ‘ডাকাত’ বলার জন্য তাকে ধরেও নিয়ে যেতে পারে।
ঐক্যফ্রন্ট প্রধান আওয়ামী লীগকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ না করার জন্য হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ক্ষমতা কোনো দলের জন্যই স্থায়ী নয়। ‘আমি আপনাকে জনগণের অধিকারের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল ও সংবিধান মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জনগণকে ক্ষমতা ও দেশের মালিক উল্লেখ করে তিনি সবাইকে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ‘আমাদের বঞ্চিত করার অধিকার কারও নেই। যারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের শাস্তি দেব। আমরা অবশ্যই আমাদের অধিকার ভোগ করব।’
মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারে প্রতিটি এলাকায় জনসভা করার আহ্বান জানান ড. কামাল। ‘মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছেন এবং সেই অধিকার আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন গণতন্ত্রের অর্থ হলো দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের অধিকার ভোগ করবেন।
ড. কামাল বলেন, বাঙালি জাতি অন্যায় মেনে নেয় না, এ বিষয়টি পাকিস্তান ও স্বৈরশাসকরা বুঝতে পারেনি বলে তাদের অনেক মাশুল দিতে হয়েছে। ‘এখনো যদি কেউ মনে করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকবে, তবে তারা তা পারবে না।’