তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। পিছু হটে তারা এখন মুখে নির্বাচন বর্জনের কথা বলছে আর ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু ইহুদি এজেন্ট নিয়োগ করেছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা কার্যত জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ যেভাবে নির্বাচনে সাড়া দিয়েছে তা দেখে বিএনপি পিছু হটেছে। সেই সঙ্গে তারা এখন লবিস্ট নিয়োগ করে বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিবন্ধ লেখাচ্ছে। ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু ইহুদি এজেন্ট তারা নিয়োগ করেছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশবিরোধী রিপোর্ট করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া নিজের নামে নিবন্ধ লেখেছিলেন দেশের বিরুদ্ধে। এটি নতুন কোনো কিছু নয়। বিএনপি সবই পারে।’
এ সময় ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ। তারা রিপোর্টটা নিশ্চয়ই আরও ২০-২৫ দিন বা ১ মাস আগে লিখেছিল। তারা যদি দেশে এসে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে যেত তাহলে রিপোর্টটা সংশোধন করে নিত। আশা করি তারা রিপোর্টটা পরে সংশোধন করে নেবে।’
বামজোট নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচি দেবে এমন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাম ভাইদের আমি খুব সম্মান করি। কারণ বাম ভাইয়েরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, প্রগতিশীল শক্তি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাম ভাইদের কোনো ভোট নেই। তাই উনারা ভোট বর্জন করুক আর না করুক এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
হাছান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সার্কভুক্ত দেশগুলো, ওআইসি আরও দেশ ও জোট দেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এরই মধ্যে পাঠিয়েছে। ২০০৮ সালসহ অন্য সময় যেভাবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা এসেছিল, একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা বিদেশ থেকে এসেছে, দেশি পর্যবেক্ষকরাও ব্যাপকভাবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রার্থনা করেছে, অনেকেই অনুমতি পেয়েছেন। এই নির্বাচনকে নিয়ে সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যে আগ্রহ, এতেই প্রমাণিত হয় এ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মহল ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে।’
‘সুতরাং বিএনপির এই নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা এবং তাদের নেতাদের এই বক্তব্য আসলে এগুলো অন্তঃসারশূন্য এবং জনগণের কাছে এগুলোর কোনো আবেদন নেই’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালেও নির্বাচনেও অনেক নাম করা দল, অনেক নাম করা নেতা অংশ নেয়নি। কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছিল এবং সেটি আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছিল।’