দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা বর্তমান সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জনগণের ভোটে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়নি। সুতরাং এটা জনগণের সংসদ নয়, জনগণের সরকার নয়।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং তারা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে। ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারা পর্যন্ত আমরা জনগণের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, সরকার বন্দুক, রাইফেল ও গুলি দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগণের কাছে পরাজিত হবে।
ড. মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, কারণ নির্বাচনের নামে রাজধানী থেকে মনোনীত করা হয়। ‘শুধু বিএনপি বা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী লোকজনই নয়, আওয়ামী লীগের সমর্থক ভোটাররাও নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।
মঈন বলেন, ‘সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে এবং ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করেছে। আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে, আপনারা যখন ৪০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা (মেগা প্রকল্পে) খরচ করতে পারেন, তখন শীতার্ত মানুষকে কেন ১০০ টাকার কম্বল দিতে পারেন না? কেন আমাদের (বিএনপি) এখানে দাঁড়িয়ে কম্বল বিতরণ করতে হবে?’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি না করে দেশের সম্পদ লুটপাট করে সেকেন্ড হোম তৈরির জন্য বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে।