তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমি নিজেও আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। অথচ আজ সেই ভোটে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। ‘আজকে কেন আমার দেশের মানুষ, জেলার মানুষ, উপজেলার মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আসবে না।’
ইউএনবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা জনগণের কথা।’
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ব্যানারে অংশ নিয়ে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাশেদ খান মেনন। তবে টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা মহাজোট সরকারের আগের আমলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো মেনন এবার কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি।
বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে ওয়াকার্স পার্টির জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়ন মানে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়, গণতন্ত্রের স্পেস কমিয়ে দেয়া নয়। যে দেশে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না সে দেশের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে।’
মহাজোট সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশে লুণ্ঠন, দুনীর্তি মহামারি আকার ধারণ করেছে। একদিকে সরকার উন্নয়ন করছে অন্যদিকে সরকারের আশপাশের লোকজন দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুফে নিচ্ছে। ‘এতে করে সরকারের উন্নয়ন ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। উন্নয়ননের সুফল পাচ্ছে না দেশের মানুষ,’ বলেন মেনন।
এসময় ক্যাসিনো পরিচালনার সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান সাবেক এ মন্ত্রী।
মেনন বলেন, ‘এতিমের টাকা মেরে দেয়ার জন্য খালেদার জেল হয়েছে, টাকা পাচার করার অভিযোগে ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ‘এখন যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিচার কবে করা হবে,’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
কমরেড নজরুল ইসলাম নীলুর সভাপতিত্বে আয়োজিত জেলা সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক।
এসময় আরও বক্তব্য দেন- জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. টিপু সুলতান, কমরেড শান্তি দাস, কমরেড অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, শাহজাহান তালুকদার, ফাইজুল হক, কমরেড এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জেলা সম্মেলন কার্যক্রমের শুভ সূচানা করা হয়।
পরে জেলা সভাপতি ও জেলা সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা লাল পতাকা নিয়ে নগরে র্যালি বের করে। যা নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এসে শেষ হয়।