তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসে তিলে তিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। বিএনপি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের কোনো বিচার করেনি। ব্যারিস্টার মওদুদরা আইনমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু তারা বিবেক দ্বারা পরিচালিত হননি। তারা শয়তান। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন এস কে সিনহা। তিনি দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশকে অন্যদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সাথে আঁতাত করেছিলেন।
‘সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মতো খুনিকে ফাঁসি থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি (সিনহা) গোপনে মিটিং করেছিলেন। এটি জঘন্যতম অপরাধ। সিনহার ষড়যন্ত্র সফল হলে বাংলাদেশে আবার পাকিস্তানের ধারা পরিচালিত হতো। শেখ হাসিনা দৃঢ়তা ও সাহসের সাথে সেটি মোকাবিলা করেছেন,’ বলেন তিনি।
টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, টাঙ্গাইল জজ কোর্টের পিপি এস আকবর খান প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুকের নাম ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম।