রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, দেশ দুর্নীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হবে যদি রাজনীতিবিদরা এতে না জড়ান।
‘পাকিস্তানি ও ব্রিটিশদের মতো নয়, দেশে দরকার গণমুখী প্রশাসন। যে পর্যন্ত আমরা পুলিশকে ভয় পাব ও তাদের দেখে পালিয়ে যাব ততক্ষণ আমরা তেমন প্রশাসন পাব না। দেশে কি জনবান্ধব প্রশাসন আছে? এটা কি গণমুখী প্রশাসন যারা জনগণকে সাধারণ সেবা দিতে ঘুষ চায়?’ বলেন বি চৌধুরী।
দেশে কোনো গণমুখী প্রশাসন নেই বলে দাবি করেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জনতা লীগ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি চৌধুরীর মতে, বাংলাদেশ যদি দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হয় এবং মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত হয় তাহলে দেশের স্বাধীনতা ফলপ্রসূ হবে।
এ প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, রাজনীতিকে অবশ্যই দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত হতে হবে। ‘যদি রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিমুক্ত হন তাহলে পুরো দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, যখন রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিতে জড়ান তখন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করা কঠিন।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র জানিয়ে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। যার ফলে মানুষের মতামত প্রতিফলিত হবে, তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে ও মানুষ ভোট দিতে পারবে। ‘ভোট অবশ্যই সঠিকভাবে গণনা করতে হবে।’
রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখনো সঠিক রাজনৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠেনি বলে হতাশা প্রকাশ করেন বি চৌধুরী।