রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত ও বহু আহত হওয়ার ঘটনায় ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ফারুক হোসেন এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচশ’ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নয়াপল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ফারুক হোসেন জানান, ৪২ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৬ জন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবারের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পল্টন থানায় ৪৭৩ বিএনপি কর্মী ও ১৫০০-২০০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।
সংঘর্ষের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের নামে এ মামলা হয়।
এছাড়া শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫২ বিএনপি কর্মী এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের (সংশোধনী ২০০২) বিভিন্ন ধারায় মামলা করেন।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম শিকদার বাদী হয়ে ২৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এসময় এক ব্যক্তি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় তাদের দলের ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
তবে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে জানায় পুলিশ।
আটক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।