পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, উচ্চ কক্ষ পিআর পদ্ধতিতে হবে। এই ভাবে আমাদের নতুন বন্দোবস্তের দিকে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড়ে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, আপানারা দেখেছেন আমাদের সুযোগ ছিল, আমরা যদি সুবিধাবাদী রাজনীতি করতাম শেখ হাসিনার কেবিনেটে সবচেয়ে ভালো মন্ত্রী হতাম। শত সহস্র কোটি টাকার মালিক থাকতাম। আমরা সেটার সঙ্গে আপোষ করি নাই। আমরা মুখে যেটা বলেছি, অন্তরে সেটা ধারণ করেছি। আমরা বলেছি রাজনীতিকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, রাজনীতিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে। তাই আপনাদেরকেও জনগণের প্রতিনিধিদেরকে নেতা বানাতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এনসিপি এসে গোপালগঞ্জকে অপমান করেছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে গোপালগঞ্জে প্রায় ১৮ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এই ১৮ হাজার পরিবারের দায়িত্ব এখন কে নেবে? আমরা হিংসাত্মক রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা গোপালগঞ্জে এসেছি গোপালগঞ্জবাসীর সুখ-দুঃখের ভাগ নেওয়ার জন্য।
পড়ুন: এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদারের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় পথসভায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন, গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগীয় গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজুর রহমান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ মোজাহিদ প্রমুখ।