তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও তার লোকজন এসব ঘটনার পেছনে উসকানিদাতা হিসেবে কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি নিজের কোনো পোশাক কারাখানা না থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতির পদ দখল করেছেন।
তিনি দাবি করেন, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের সময় মিরপুর ও উত্তরায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের সঙ্গে কোচি সরাসরি জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায় কচি এবং তার নিযুক্ত বিজিএমইএ বোর্ড পর্দার আড়ালে থেকে ভূমিকা পালন করছে কিনা বা চলমান শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে উসকানিদাতা হিসেবে কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আমি দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
আশুলিয়া ও গাজীপুরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের কারণে তৈরি পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পরওয়ার এসব কথা বলেন।
দেশের পোশাক শিল্পে চলমান অসন্তোষ ও শ্রমিক অসন্তোষ তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ খাতের অস্থিতিশীলতা কোনোভাবেই দেশের অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট কারও ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।’
জামায়াত নেতা বলেন, 'এছাড়া আমাদের প্রতিবেশী দেশসহ আমাদের সকল প্রতিযোগীরা এই (অস্থিরতার) সুযোগ নিয়ে আমাদের পোশাক শিল্প ধ্বংস করার এবং ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে। ফলে আমাদের বাজার দখল করা তাদের জন্য খুব সহজ হবে এবং তারা লাভবান হবে।’
শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে দেশ ও পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দুর্বৃত্ত মহল বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করতে এই খাতে কর্মরত শ্রমিক ও সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানান জামায়াত সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ৭ শহীদ পরিবারকে ১৪ লাখ টাকা অনুদান দিল জামায়াত