ফেনীতে রোডমার্চ চলাকালে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ১ হাজার ৬৫১ জনকে আসামি করে শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করেন।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার বিকাল পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার সর্বশেষ বিবরণী অনুযায়ী, ফেনী প্রেসক্লাবের ট্রাঙ্ক রোডে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মিছিল করার সময় আসামিরা তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি এখন ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে বুধবার ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক হায়াত উল্লাহ বাদী হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালসহ ৮৮ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত ২ হাজার জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফেনী শহরে বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী পূর্বনির্ধারিত রোডমার্চ বের করে।
ট্রাঙ্ক রোডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে প্রায় ২০০ জন আহত হয়।