প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রবিবার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের বিচার না করে নিরাপদে বিদেশে চাকরি করার সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
সেই ধারাবাহিকতা তার স্ত্রী খালেদা জিয়া এগিয়ে নিয়েছেন। যার নির্দেশে ১৯৮৬ সালে কারাগারে পাঠানো খুনিদের একজন খায়রুজ্জামান ২০০১ সালে মুক্তি পান। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যার পর খায়রুজ্জামান যিনি বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছিলেন তাকে ১৯৭৫ সালে মিশরে পোস্টিং দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্তর্ভুক্তিতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এরপর জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরিতে তার ধারাবাহিক পদোন্নতির পথ প্রশস্ত করেন। এমনকি তাকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার করা হয়েছিল।
জয় বলেন, খায়রুজ্জামান ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার আমলে সারা দেশে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তার দাপটে সবসময় আতঙ্কে থাকতো প্রশাসনের কর্মকর্তারা। খালেদার বিশেষ ঘনিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ছিল সে।
কিন্তু ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের পতন ঘটে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর জেল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আাসামি হিসেবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় খুনি খায়রুজ্জামানকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় জেলে ঢুকানো হয় থাকে। কিন্তু ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রে মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় ফিরে বিএনপি-জামায়াত জোট প্রথমেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই খালেদা জিয়া খায়রুজ্জামানকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন।
তার নির্দেশে খায়রুজ্জামানকে মুক্তির আগে কারাগার থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি তার কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে জানান জয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি