বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে বিসর্জন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বুধবার(২০ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।
রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট চায় না, বরং ‘মোদি সরকারের সমর্থনে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে এবং পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখল করে।’
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে একটি 'ডামি রাষ্ট্র' হিসেবে বিবেচনা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পেছনের আসল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, ভারত। আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারত দেশের নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: বিএনপি
বিদেশি প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, 'এমনটাও বিশ্বাস করতে হয় যে, ভারত বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করে।’
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিবৃতির কথাও উল্লেখ করেন রিজভী ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতার নামে আমাদের সার্বভৌমত্বের ধারণাকে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।
ভারতের কথিত আধিপত্যকে আওয়ামী লীগের মেনে নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ভারতের আধিপত্য মেনে নেবে না, এমনকি আওয়ামী লীগ নেতারা করলেও।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপির বিরোধ ভারতের জনগণের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত সরকারের নীতির সঙ্গে।
বাংলাদেশে 'ইন্ডিয়া আউট' ক্যাম্পেইন জোরদার হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এটা দেশটির প্রভাবের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ।
প্রচারণা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রিজভী উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমের আন্দোলনকে ‘সমীচীন নয়’ বলে মনে করেছেন। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে ভারতের ভূমিকার প্রতি জনগণের অসন্তোষের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অস্বস্তির বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের