বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বুবধার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চার্লস হোয়াইটলি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি
তিনি বলেন, 'আমরা একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।’
এ সময় ঢাকাভিত্তিক ইইউ'র সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের ভালো, খোলামেলা ও বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, 'অতীতে যেমনটি আমরা করেছি, আমরা তাদের (ইইউ দল) পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য হয় সেজন্য আমরা যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করবে।
বিরোধীরা সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচন তদারকির জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানালেও আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সিইসি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, এ বিষয়ে তারা তাদের স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।
‘আমি মনে করি তারা আমাদের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পেরেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো বিরোধ ও বিভাজন দেখা দেয়, তাহলে আমরা কোনোভাবেই তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল