শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন গোপন হামলা, নাশকতা ও যানবাহন ভাঙচুর করছে।
তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের সাফল্য যে জনগণ নির্বাচনকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এসব গোপন হামলার মাধ্যমে নির্বাচন নষ্ট বা বানচাল করা অসম্ভব। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
বিএনপির কঠোর কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা যা করেছে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত আর নেই- আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পার্কিং করা গাড়িতে ঘুমন্ত চালককে মারা, হরতাল, অবরোধ- ২০১৩/১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। নাশকতার চেয়ে আর কি কঠোর কর্মসূচি আছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এককথায় উড়িয়ে দেওয়া যায়না। বিএনপির এখনও সুযোগ আছে। বিএনপি জোটগতভাবে না এলেও বিএনপির ভেতরের অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ছবিটা কোথায় যায় দেখা যাক।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহিঃশক্তির মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আমাদের মনোযোগ। আমাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহৎশক্তির দেশগুলোর মন্তব্যে আমরা শরিক হতে চাই না।
সংসদীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ পর্যন্ত চারটি বিভাগে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। আগামীকাল সম্ভব না হলে পরশু রবিবার দলীয়ভাবে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজকের সভাতেও কিছু পুরনো বাদও গেছে, নতুনও মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে কোন কোন বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। এক সঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দুটা দিন অপেক্ষা করুন।
মনোনয়নে বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা উইনঅ্যাবল ও ইলেক্টঅ্যাবল না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই মনোনয়নে এটা প্রযোজ্য।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কত নায়ক-নায়িকা এমপি। তারা তো সরাসরি দল করে না। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশেও আছে।
আর সাকিব আল হাসান রাজনীতি করবে, জনগণের সেবা করবে। বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় সে দাঁড়াতে পারে।