বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সরকার জড়িত ছিল। যার ফলে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিল।
রবিবার ১৪ বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তার স্মরণে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি যখনই আসে তখনই আওয়ামী লীগ সরকার অস্থির হয়ে যায়। তাদের (সরকারের) একজন মন্ত্রী গতকাল (শনিবার) বলেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কিনা।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ ও তার সরকার পুরোপুরি জড়িত ছিল। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং তাদের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি দুর্বল পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এবং দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে নিরাশ করার জন্য এই বিডিআর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
ফখরুল বলেন, বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের সঙ্গে সমঝোতা করায় সরকারের সম্পৃক্ততা সহজেই বোঝা যায়। ‘এটা কি ধরনের আলোচনা ছিল? যারা আমাদের সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারদের হত্যা করছে তাদের সঙ্গে আপনি আপস করেছেন।’
সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী বিদ্রোহ দমন করতে হবে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে, অন্য কোনো উপায়ে নয়। ‘মঈন উ আহমেদ ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান যিনি ১/১১ (রাজনৈতিক পরিবর্তন) এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার প্রধান ভূমিকা পালনকারী। এবং যিনি দেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন।’
২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর একটি গুপ্ত চক্রান্তে পিলখানা সদর দপ্তরে আধাসামরিক বাহিনীর ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
পিলখানা সদর দপ্তরে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, সরকার বিদ্রোহ-বিধ্বস্ত আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের লোগো এবং ইউনিফর্ম পরিবর্তন করে এর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সমর্থন যোগাতে ৪ মার্চ থানা পর্যায়ে মিছিল করবে বিএনপি