ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার( ৮ এপ্রিল)। প্রথম ধাপে সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ৮ টায় শুরু হবে ভোট গ্রহণ যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনের জন্য ওই সব উপজেলায় এদিন সাধারণ ছুটি থাকবে।
সিলেটের ৪টি উপজেলায় মোট কেন্দ্র রয়েছে ৩০২টি। আর ভোটার রয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার ৫২ জন। এই চার উপজেলায় মোট ৫৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চার উপজেলার ৩০২টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে নির্বাচন অফিস। নির্বাচনের দিন ভোরে ব্যালট পেপার প্রিজাইডিং অফিসারদের দেওয়া হবে।
এদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।
আরও পড়ুন: প্রার্থী নয়, অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি। এছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার নজরদারিও করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, সিলেটের চার উপজেলায় চার জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য মঙ্গলবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দু’জন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ৬জন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। তারা সকলেই ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন পুলিশ। গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে মোবাইল টিম সক্রিয় থাকবে। তারা সবাই শুক্রবার পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া প্রতিটি থানায় পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হচ্ছে। থানা এলাকায় র্যাব ও বিজিবি টহল দেবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা অপারেশনে যাবে।
আরও পড়ুন: যেসব ভোটকেন্দ্র জাল ভোট হবে সেগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা হবে: ইসি