ব্যাংকিং খাত সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো যে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক তার উদাহরণ।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি বলেন, এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ৩০ এপ্রিল এনআরবিসি ব্যাংকের ১৩ জন পরিচালক তাকে চিঠি দিয়ে বলেন, এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে আছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘উদ্যোক্তা পরিচালকরা বলছেন, তারা এখানে বিনিয়োগ করেছেন। এখন ব্যাংকটি থাকবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তারা। টাকা ফেরত পাবেন কিনা তা তারা জানেন না। তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।’
লোডশেডিং প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, এটা বাড়ছে।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিলে গ্রামীণ মানুষ সবচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের শিকার হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট অঞ্চল ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী সব এলাকায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং সহ্য করতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে কটাক্ষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনায় জিএম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে সরকার প্রয়োজনের সময় লোডশেডিং কমাতে পারেনি এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনের তুলনায় ১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় পিডিবির কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। ক্যাপাসিটি চার্জ না দিলে দাম বাড়ানো হতো না।
আরও পড়ুন: পাহাড় সামলাতে ব্যর্থ সরকার: জি এম কাদের