বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অমর একুশে, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
মঙ্গলবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছে বেদিতে দলের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল সাড়ে ৭টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ করেন।
আরও পড়ুন:আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যেতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা লেগেছে বিএনপি নেতাদের।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোশাররফ অভিযোগ করেন, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টায় বলাকা ভবন থেকে মিছিল নিয়ে আমরা শহীদ মিনারের দিকে অগ্রসর হই। শহীদ মিনারে পৌঁছতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সলিমুল্লাহ হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’
বিএনপি নেতা বলেন, কিছু সংগঠনের নাম বারবার লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তারা অহেতুক সময় নষ্ট করায় ইচ্ছাকৃতভাবে বেদি ছেড়ে যায়নি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে যারা প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন এটা তাদের ব্যর্থতা। আজও আমরা এখানে (শহীদ মিনারে) রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এটা ঘটিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশলী ইনস্টিটিউশনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
দিবসটি পালনে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে ফেব্রুয়ারিকে একই সঙ্গে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির