জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আগামী নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আনাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ভোটাররা যাতে অবাধে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, ভোটাররা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দলের চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাপাতে কোনো বিভক্তি নেই এবং দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ তারা।
দল প্রতিষ্ঠায় রওশন এরশাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে মহাসচিব চুন্নু বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনও মনোনয়নপত্র নেননি।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার কোনো সময়সীমা নেই এবং তিনি যখনই চাইবেন তাকে তা পাঠানো হবে।
হরতাল-অবরোধের কারণে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় মনোনয়নপত্র নিতে আসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন চুন্নু। তাই সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার চলছে, আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
মহাসচিব বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং দলের চেয়ারম্যানও মনোনয়ন বোর্ডের আদেশের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন এবং তিনি ইচ্ছা করলেই মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারবেন।
দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আগামীকাল খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে এবং পরশু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হবেন।
সব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৫২টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।