বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এই ভিসা নীতিতে, আমাদের সাংবাদিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে... কেন এই জাতিকে এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে? আমরা খুব ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি। অনেক মানুষ আছে যারা খুব খুশি। এটা আনন্দের বিষয় নয়, এটা লজ্জার।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি, দেশের অবস্থা ভয়াবহ। সেই অবস্থা থেকে বের না হলে পুরো জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আজ এই বিপদ, এই সংকট শুধু বিএনপির নয়, এই সংকট জাতির।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুই নির্ভর করছে আগামী কয়েকদিনের ওপর--ভবিষ্যতে আমরা স্বাধীন থাকব কি না, আমাদের স্বাধীনতা থাকবে কি না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, আমার দেশ একটি ক্রীতদাস রাষ্ট্রে (ভ্যাসেল স্টেট) পরিণত হবে কি না, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে কি না। আমি আমার পছন্দ অনুযায়ী আমার প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারি কি না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণ সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা এর কোনো বিকল্প চায় না।’
ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় এক বছর ধরে আমরা রাজপথে রয়েছি, এতে আমাদের ২২ জন তরুণ নেতা রাস্তায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন, আমাদের ওপর অসংখ্য মামলা হয়েছে, আমরা রয়েছি। বহুবার জেল খাটতে হয়েছে, তারপরও ওরা কখনো আমাদের দমাতে পারেনি, পারবেও না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী টেলিভিশনের টকশোতে আর আসেন না। কারণ কী? তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে, সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বললে বিপদে পড়বেন... আমরা এই অবস্থায় বাস করি।’
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেনজীর আহমেদ টিটু ও শ্রম বিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।