রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল সারা দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলার দলীয় নেতারা শান্তি সমাবেশ করবেন তারা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘দেখা যাক আগামীকাল থেকে কে আপনাদের (বিএনপির) পাশে দাঁড়ায়। নেতারা পালিয়ে যায়, সমর্থকরাও তাদের পেছনে পেছনে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফখরুল কোথায়? বিএনপি কোথায়? তারা কোথায় গেল? বিএনপির মহান যাত্রা এখন মরে গেছে।’
অরাজকতার জন্য তাদের হরতাল কেউ মেনে নেবে না। এই অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। আমরা আগামীকাল সারা দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলায় শান্তি সমাবেশ করব।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে ছিলেন। এমনকি দুশ্চিন্তার কারণে দুপুরের খাবারও খেতে পারেননি তিনি।’
ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘দেখা যাক তারা কী করে’।
রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টনে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও অন্তত ৪১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু
রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাকরাইল এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যাত্রা শুরু করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে।
পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা