শেরপুরে পুলিশর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির গ্রেপ্তার ১৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের শেরপুর আদালতে সোপর্দ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুন আগামী ২৮ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ পুলিশসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়। এসময় পুলিশ ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ থেকে ২০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনাস্থল ও পুলিশের অভিযানে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে, পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শওকত হোসেন ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার প্রশিক্ষণে থাকলেও তাকে পুলিশের মামলায় আসামি (১৭)করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালের ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতানামা আরও দেড়শ’-দুইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর কবির খান. রিয়াদ, শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. খালেদুজ্জামান আসিন।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন।