জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘সংস্কার নিয়ে গড়িমসি হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে। সংস্কারের ভিত্তিতে এই নির্বাচন হতে হবে। যেনতেন নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে না।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নগরীর ঢুলিপাড়া এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমুলক, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন। স্বৈরাচার ছাড়া সকল বৈধ দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। তবে তার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে ‘হ্যাঁ, না’ ভোট করেছিলেন তখন কিন্তু পার্লামেন্ট ছিল না! আমরা শহীদ জিয়ার সেই দলকে অনুরোধ করব, তারা যেন শহীদ জিয়া যেভাবে ভোট করেছিলেন, প্রক্লেমেশন করেছিলেন, সেটাকে ফলো করে এবারের যে সমস্ত সংস্কারে আমরা একমত হয়েছি, সেটাকে ভিত্তি ধরে আগামী নির্বাচন করার ব্যাপারে তারা ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।”
আরও পড়ুন: জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানাল জামায়াত
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে হবে ইনশাল্লাহ। কিন্তু নির্বাচন যথাসময়ে হওয়ার জন্য কিছু অবস্ট্যাকল (বাধা) আছে, সরকার যদি সিনসিয়ার (আন্তরিক) হয়, তাহলে সেগুলো দূর করা সম্ভব।’
তবে নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাদের পিআর পদ্ধতি মেনে নেওয়ার একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে। কারণ সুজনের মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের জরিপে ৭১ শতাংশ লোক পিআর চাচ্ছে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্বৈরাচার তৈরি হবে না। ৫৪ বছরের ট্রেডিশানে (ঐতিহ্যে) নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। পিআর পদ্ধতিতে হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা সদর-৬ আসনের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ফেনী জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন, সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী কামরুজ্জামান সোহেল, মোশাররফ হোসেন ও নাছির আহমেদ মোল্লা প্রমুখ।