সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে পাঠানটুলা এলাকার স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহতরা হলেন- সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার আব্বাসের ছেলে রশিদ (৩৫), জালালাবাদ থানার গোয়াবাড়ি এলাকার আলী (৩৩), একই থানার নতুন বাজার এলাকার বিরেন্দ্র দাসের ছেলে বিদ্যুৎ (৩৫) ও পল্লবী রোডের মৃত আলী আব্বাসের ছেলে শিপলু। এছাড়া জামাল ও কয়েস নামে আরও দুজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গুরুতর আহত আলীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি সবাই ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারের ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ, ভোট গ্রহণ স্থগিত
জানা গেছে, বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল যুবলীগ নেতা শিপলুর নিয়ন্ত্রণাধীন জুয়ার বোর্ডে হানা দেয়। এ ঘটনায় বিদ্যুৎ গ্রুপকে দোষারোপ করে শিপলু গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
রাত পৌনে ৯টার দিকে বিদ্যুৎ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা স্কলার্সহোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় শিপলু গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের আলীসহ পাঁচজন আহত হয়। এসময় পাল্টা হামলায় আহত হয় শিপলু গ্রুপের শিপলু।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইন উদ্দিন শিপন জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।