সোমবার রাজধানীতে এক দোয়া মাহফিলে বক্তব্য প্রদান কালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে গোরস্থানে পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশনের এখন কোনো কাজ নাই। এখন তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ, উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপজেলার পিতা এবং সিটি মেয়রকে মহানগর পিতা বানানোর কাজে হাত দিয়েছেন।’
রিজভির অভিযোগ, ‘শেখ হাসিনার কথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও পদ্ধতিগুলো ভাঙছেন। তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামতও নিচ্ছেন না।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান ও সেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর রুহের মাগফিরাত কামনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীন সত্ত্বা বিলোপ করে সরকারের চাকর হয়ে গেছেন।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ইসি বিদ্যমান আইন সংশোধন করে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মতো স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং তাদের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের মতো পদে বাংলায় নামকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত মাসে বিদ্যমান আইন সংশোধন সম্পর্কে মতামত চেয়ে ইসির ওয়েবসাইটে একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশে আমরা একটি মরণযজ্ঞের মধ্যে আছি। করোনায় আক্রান্তরা মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না।’
গত কয়েকদিন আগে কয়েকটি জেলা সফর করার কথা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। ওইসব এলাকায় চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসা নেই। হাসপাতালগুলোতে যাওয়া মানে মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিশ্চিত পকেটে নিয়ে যাওয়া।
‘এই সরকার শুধুমাত্র ক্রসফায়ার গুম-খুনের মধ্য দিয়ে একটা অমানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেনি, এই সরকার সারা দেশের মানুষকে মৃত্যু কূপে ফেলে দেয়ার জন্য সব ব্যবস্থা করেছে,’ বলেন তিনি।