তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে এ পর্যন্ত নয় লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। গত অর্থমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে পাঁচ লাখ পঁচিশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, যা দিয়ে দেশের একটি বাজেট তৈরি করা যায়।’
দুপুরে গাজীপুরে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে ওয়াকার্স পার্টির গাজীপুর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন।
ক্যাসিনো পরিচালনাকারীরা ক্ষমতার মধু চাটার জন্য দলে অনুপ্রবেশ করে জানিয়ে মেনন বলেন, ‘ক্যাসিনো চালকরা শত শত কোটি টাকা কামাই করে ও খেলাপি ঋণের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এদের ছাড়বেন না, এদের শিকড় অনেক গভীরে, এরা অনুপ্রবেশকারী হয়েও ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
তার মতে, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু তার উন্নয়নের সুফল গুটিকয়েক লোকের হাতে চলে যাচ্ছে। শতকরা মাত্র পাঁচজন লোক উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে।
‘স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ খাবে তো কেউ খাবে না তা হতে দেয়া যাবে না। আমাদের মধ্যকার বৈষম্য কমাতে হবে। নারী পুরুষের ও শোষক-শোষিতের বৈষম্য কমিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক সমতা বিধান করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছে। সংসদ ে বড়লোক ও ব্যবসায়ী-মিল মালিকদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ওঠে দাঁড়িয়েছে, আরও দাঁড়াতে হবে। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
তরুণ সমাজের উদ্দেশে মেনন বলেন, ‘আমাদের জেগে উঠতে হবে নীতি-আদর্শ ও আন্তরিকতার ওপর ভর করে। আমাদের গৌরবের ইতিহাস আছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আন্তরিকতার সাথে সব ধরনের শোষণ-বৈষম্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে।’
পার্টির জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, শ্রমিকলীগ মহানগর শাখার সভাপতি আব্দুর রশিদ, জাসদ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রানা, গণতান্ত্রিক পার্টির জেলার সভাপতি মনোজ কুমার গোস্বামী প্রমুখ।